করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কারণে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকার কারণে এ শিল্পগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসবিএমএ) অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৩০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে আরও প্রায় ২০০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
জানা গেছে, দেশের ৯৯ শতাংশ ফ্যাক্টরি শেড বিল্ডিং বর্তমানে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং দ্বারা নির্মিত হয়। প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং সাশ্রয়ী, ভূমিকম্প সহনশীল এবং গুণগত মান ঠিক রেখে, অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স ও কমপ্লায়েন্স মেনে স্বল্প ব্যয়ে সর্বোপরি স্বল্প সময়ে স্থাপনযোগ্য। এ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। এ শিল্পের সঙ্গে ২ লক্ষাধিক জনবল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আরও ৮ লাখ জনবল জড়িত। বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় ১ লাখেরও বেশি স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারী চাকরিচ্যুত, মাসিক বেতন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পগুলোতে বর্তমানে চরম সংকটজনক পরিস্থিতি বিরাজমান থাকায় চলমান শিল্পকারখানা, সরকারের সাইক্লোন শেল্টার ও গুদাম নির্মাণ কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। এসবিএমএ এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, কাঁচামালের অভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এই শিল্পকে বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য ১০০ কোটি টাকা নগদ অর্থ প্রণোদনা, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অন্যূন ২,৫০০ কোটি টাকা প্রদান দাবি জানাই।
ঋণের/বিনিয়োগের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি ও সুদহার আপৎকালীন সময়ে স্থগিত, আমদানি পর্যায়ে যে ৫ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে তা মওকুফ করার দাবি জানাই।